চিরকুট নিয়ে অচেনা পাখির আগমন, উৎসুক মানুষের ভিড়
পাখির ঠোঁটে হাতে লেখা আরবি ও বাংলা অক্ষরে কাগজের চিরকুট ছিল। চিরকুটে লেখা ‘মহব্বতের বার্তা’। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় এক কৃষকের বাড়িতে এমন এক অচেনা পাখির আগমন ঘটেছে। সোমবার (৩১ মে) দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোশ প্রামাণিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অচেনা পাখিটি একনজর দেখতে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করছে কৃষকের বাড়িতে। তবে পাখিটিকে দেখতে কবুতর বা ঘুঘুর মতো হলেও আসলে কি পাখি তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোশ প্রামাণিকের বাড়ির টিনের চালায় এসে হঠাৎ এ অচেনা পাখি এসে বসে। এ সময় কৃষক সন্তোশ প্রামাণিকের স্ত্রী মানিকজান প্রথমে দেখতে পান এবং পাখিটিকে খাবার দিয়ে বন্দি করেন। আটক করার পর পাখিটির ঠোঁটে একটি চিঠি পাওয়া যায়। পাখিটি দেখতে কবুতর ও ঘুঘুর মতো মনে হয়েছে তাদের কাছে।
এ বিষয়ে সন্তোশ প্রামাণিক জানান, দুপুরের দিকে একটা অচেনা পাখি তার ঘরের চালায় এসে বসে। এ সময় তার স্ত্রী মানিকজান বেগম মাটিতে খাবার ছিটিয়ে দিলে পাখিটি চালা থেকে নেমে আসে। পরে তিনি পাখিটিকে আটক করেন। এরপর পাখিটির ঠোঁটে একটি চিঠি পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
কাগজের মধ্যে কলমে লেখা ওই চিঠির ওপরের অংশে আরবি লেখা এবং নিচের অংশে নুসরাত জাহান, পারুল খাতুন, রিয়াজুল হোসেন ও আবদুল আজিজ লেখা রয়েছে। এর ডান পাশে ‘মহব্বতের বার্তা’ লেখা রয়েছে। আরবি লেখাটি কেউ পড়তে পারছেন না বলে জানান তিনি।
সন্তোশ প্রামাণিকের স্ত্রী মানিকজান বেগম জানান, এ ধরনের পাখি এর আগে তিনি কখনো দেখেননি। ঘটনাটি তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। চিঠিতে যেসব নামের উল্লেখ করা আছে, এসব নামের কেউ তার বাড়িতে বসবাস করে না বলে জানান তিনি।
তাপস কুমার/এনএ