কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হলে রোববার (৩০ মে) এলাকাবাসী বাবাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৭ এপ্রিল বাবা আমের জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করে মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভুক্তভোগী তার ছোট বোনকে জানালে সে মাকে জানায়।

ভুক্তভোগীর মা জানান, আমি মাটি কাটার শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো মাটি কাটতে চলে যাই। ঘটনার প্রথম দিন আমার স্বামী রিকশা চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে আমের জুস কিনে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যা করা হবে বলে আবারও ধর্ষণ করে। আমি এর বিচার চাই। 

স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, গণধোলাইয়ের খবর শুনে এলাকাবাসীকে শান্ত করি। তারপর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই লোক এখানে ঘর জামাই হিসেবে থাকত।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে আমরা মামলা গ্রহণ করি। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে এবং ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায়  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অমিত মজুমদার/এসপি