লঞ্চের ডেক থেকে কেবিনে নিয়ে এক তরুণীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাতে হিজলা-ভাষাণচর-ঢাকা রুটের এমভি রাজহংস-১০ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনা শনিবার রাতের হলেও আজ (বুধবার, ২ জুন) দুপুরে ধর্ষণের শিকার তরুণী থানায় এসেছেন। আমরা তার অভিযোগ শুনেছি। তিনি এ মুহূর্তে আমাদের সামনেই বসা রয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে। 

এদিকে কাজিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই তরুণী আমাদের থানায় এসেছিলেন। তার অভিযোগ মৌখিকভাবে শুনেছি। কিন্তু ঘটনাস্থল হিজলা থানার আওতায় হওয়ায় তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি।

হিজলা থানা পুলিশের ওসি ভুক্তভোগীর বক্তব্যের বরাত দিয়ে জানান, অভিযুক্ত যুবক মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মাধরায় গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম মাসুম। তারা পূর্ব পরিচিত। মূলত বিয়ের প্রলোভন এবং ঢাকায় চাকরি দেবে বলে প্রলুব্ধ করে লঞ্চের কেবিনে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছেন তরুণী।

ওই তরুণী জানান, তিনি লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে শুয়ে ছিলেন। গভীর রাতে মাসুম এসে তাকে বিছানাসহ কেবিনে নিয়ে যান। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তাকে মাসুম বিয়ে করাসহ তার নামে অর্ধনির্মিত ভবন লিখে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তিনি সম্মত না হলে একপর্যায়ে জবরদস্তি শুরু করেন মাসুম এবং ওই রাতে কয়েক দফায় তাকে লঞ্চের কেবিনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

এ সময় তিনি কান্নাকাটি করলে তাকে গ্রামে নিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেন মাসুম। কিন্তু রোববার সকালে রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ পৌঁছালে তাকে একা রেখে পালিয়ে যান মাসুম। সেখান থেকে ফিরে সোমবার মাইদুলের বাসায় গিয়ে তার বাবা খলিল হাওলাদারকে বিষয়টি জনালে তিনি দশ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে চান। এরপর কাজিরহাট থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা থেকে হিজলা থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন। আজ বুধবার ওই তরুণী হিজলা থানায় অভিযোগ করেছেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস/জেএস