নওগাঁয় লকডাউন
শহরের বাইরে থেকে চলছে দূরপাল্লার বাস
করোনা সংক্রমণ রোধে নওগাঁ পৌর এলাকা ও নিয়ামতপুরে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাত থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এ অবস্থায় পৌর শহর থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ চালকই শহর থেকে অল্প দূরত্বে বাস থামিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। এতে চরম করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন পার্শ্ববর্তী অন্য উপজেলার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ থেকে ঢাকা ও বগুড়াগামী সব বাস ঢাকা রোড এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এসব বাস সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে চলাচল করছে। পুলিশের সামনেই সান্তাহার-নওগাঁ সড়কে অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
একটি বাসের চালক আহম্মদ আলী বলেন, ঢাকা রোড এলাকায় লকডাউন নেই। তাই এখন থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছি।
এদিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন লকডাউনের আওতায় না থাকায় নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়ক ও কাঁঠালতলী থেকে অবাধে যানবাহন চলাচল করছে। কাঁঠালতলী এলাকা থেকে সান্তাহার শহরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এ কারণে করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে সান্তাহার শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষ।
বিজ্ঞাপন
সান্তাহার নাগরিক কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দীন বলেন, শুধু নওগাঁ পৌরসভা এলাকা লকডাউনের আওতায় আনার ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়ছে সান্তাহার শহরের মানুষ। কাঁঠালতলী থেকে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর থেকে সহজেই সব যানবাহন চলাচল করতে পারছে। বোয়ালিয়া ইউনিয়নকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে লকডাউনের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পুরো জেলাকে লকডাউনের আওতায় না এনে শুধু নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় লকডাউন দেওয়ায় সান্তাহার শহরের মানুষ ঝুঁকিতে পড়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শামীনূর রহমান/এসকেডি