ঢাকার ধামরাইয়ে সন্তান ও পুত্রবধূর নির্যাতনে লাবু মিয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর পর তাকে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন তারা। এ ঘটনায় মৃতের পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের পটল গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় লাবু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত লাবু মিয়া একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি দলিল করে দেওয়ার পর থেকে তার ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করেন তার সন্তানেরা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হলেন লাবু মিয়ার ছেলে জিয়াউদ্দিনের স্ত্রী সুমি (৪০)। নিরাপত্তার জন্য তাদের মাকেও সঙ্গে নিয়ে গেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, অনেক আগেই লাবু মিয়ার সন্তানেরা বাবার সব সম্পদ কৌশলে দলিল করে নেন। এরপর থেকে তাদের বাবাকে খাবার না দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন। অনেক দিন ধরেই এমন নির্যাতন সহ্য করছেন বৃদ্ধ লাবু মিয়া। কোনো দিন কোথাও অভিযোগ দেননি তিনি। আজ তাকে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন সন্তানের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ স্লোগানে ঘটনাস্থলেই বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাবু মিয়ার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে মারধর করে মেরে ফেলার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক জসিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ