নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধাকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

বুধবার (২৫ জুন) বিকেল তাকে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠায়।

এর আগে গত মঙ্গলবার আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব রশীদ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় সুলতান মৃধা প্রধান আসামি। অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাতজন আসামির নাম রয়েছে। তাদের বিষয়ে তথ্য জানতেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।

গত ১৮ জুন রাতে সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গোডাউন ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইনের পাত গ্যাস কাটার যন্ত্র দিয়ে টুকরা করে গোপনে দুটি পিকআপে করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিন বেলা ৩টার দিকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা যৌথভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরপরই সুলতান মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জুন রাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন

শরিফুল ইসলাম/এমএন