গৃহবধূকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ : স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক
পাবনা সদর উপজেলার টিকরী গ্রামে সাদিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী সাব্বির হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহতের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদিয়া উপজেলার টিকরি গ্রামের মো. সোহেল মোল্লার মেয়ে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের সালাম প্রামানিকের ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় সাদিয়ার।
আরও পড়ুন
সাদিয়ার স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিছুদিন আগে সাব্বিরকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। এরপরও সাদিয়ার ওপর চালানো হতো নির্যাতন।
এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাতে সাদিয়াকে মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়ার মৃত্যু হয়।
নিহত সাদিয়ার মামা দুলাল মোল্লা বলেন, সাদিয়ার শরীরে মারধরের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাকিব হাসনাত/এএমকে