টঙ্গীতে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ জুন) দিবাগত রাত থেকে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার চর বসন্তিপুর গ্রামের কুতুবউদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া (২৭), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৫), নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম সোনা পাতিল (আরিয়া পাড়া) গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (২২), টঙ্গী পশ্চিম থানার খরতৈল (সুখীনগর) এলাকার আবু তালেবের ছেলে মো. ফয়সাল (৩১) এবং টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার আলী হোসেনের ছেলে মো. ওয়াসিম (৩৪)।

পুলিশ সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কুলিয়ারচর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে খোকন মোল্লা (৪০)। তিনি টঙ্গীর পশ্চিম থানার গাজীপুরা এলাকার ফারুক হোসেনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

টঙ্গীতে মামুন বাহিনীর প্রধান মামুনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন বেশ কিছুদিন ধরে খোকন মোল্লাকে এলাকায় থাকতে হলে টাকা দিতে হবে বলে ভয়-ভীতি দেখান। সোমবার (৭ জুন) রাত আটটার দিকে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন তাকে একটি ইজিবাইকে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায়।

সূত্র আরও জানায়, ভুক্তভোগীর স্বজনরা অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা পাঠান। টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ এ খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে টঙ্গীর খৈরতুল বালুর মাঠ এলাকা থেকে খোকনকে উদ্ধার করে এবং পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিহাব খান/এনএ