বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া লঞ্চঘাটে ওয়াটার ভেসেল গ্রিন লাইন থেকে এক যাত্রীকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে পন্টুনে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে ধরাধরি করে পুনরায় গ্রিন লাইনে তুলে দিয়ে যায় হামলাকারীরা।

বুধবার (৯ জুন) বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবকের নাম রনি সরদার।

স্থানীয়রা জানান, গ্রিন লাইন-২ নামের ওয়াটার ভেসেল বেলা ৩টায় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের কালিগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করে যাত্রী তুলছিল। এ সময় ওই নদীবন্দর থেকে নৌযানটিতে ওঠা রনি সরদার নামের এক যুবককে বহিরাগত ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে সিট থেকে তুলে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে রনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে আবারও গ্রিন লাইনে তুলে দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও এক যাত্রী গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ভিডিওটি ইতোমধ্যে ফেসবুকের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে গ্রিন লাইন-২-এর ব্যবস্থাপক বাদশাহ সরদার বলেন, রনি সরদার আমাদের যাত্রী। তাকে তুলে নিয়ে মারধর করেছে এদল লোক। আমরা না থাকলে তাকে হয়তো মেরেই ফেলত। শেষে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছি।

আহত রনি সরদারের বরাত দিয়ে বাদশাহ সরদার বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দুটি পক্ষের বিরোধের কেন্দ্র করেই তাকে মারধর করা হয়েছে। আহত রনি আমাদের বলেছে, মেহেন্দীগঞ্জে ক্ষমতাশীন দলের দুটি পক্ষ। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের বিরোধ বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আছে। রনি সরদার নিজেও একটি পক্ষের হয়ে রাজনীতি করেন।

জানা গেছে, এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উলানিয়া বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। তারই সূত্র ধরে আজ রনি সরদার নামে ওই রাজনৈতিক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায় জানায়, এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। তবে জানতে পেরেছি এক যুবককে গ্রিন লাইন থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। কী কারণে মারধর করা হয়েছে, তা উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

ওসি বলেন, মারধরের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে এর সঙ্গে অন্য কোনো কারণ জড়িত কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ