ফাইল ছবি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পলি খাতুন (২৩) ও তার ৫ মাসের শিশু কন্যা সুমাইয়া ওরফে ফারিহা হত্যা মামলায় শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার গোপালহাটি ফকিরপাড়া এলাকা নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের রাজশাহীর আমলী আদালত-৩ নেয়া হয়। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

এর আগে নিহত পলি খাতুনের ভাই কাজল শেখ বাদী হয়ে পলি খাতুনের স্বামী ফিরোজ মণ্ডল (৩৫), শ্বশুর হাসিব মণ্ডল ও শাশুড়ি চায়না বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে নিজ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন ফিরোজ। পরে মরদেহ ফেলে রাতেই ঢাকায় পালিয়ে যায়। বাবার বর্বরতা থেকে প্রাণে বেঁচে যায় ঘুমন্ত আড়াই বছরের শিশু ফাহিম আলী। মা ও বোনের মরদেহের পাশে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি।  

খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার গাবতলী উৎসব সিনেমা হল এলাকা থেকে ডিএমপির দারুসসালাম থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় ফিরোজ মণ্ডলকে।

চার বছর আগে পুঠিয়া পৌরসভার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার জুলহাস আলীর মেয়ে পলি খাতুনের সঙ্গে ফিরোজ মণ্ডলের বিয়ে হয়। ফিরোজ মণ্ডল এক সময় রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এনপি এলিগেন্স পরিবহনের সুপারভাইজার ছিলেন।

দুর্ঘটনায় এক পা হারান তিনি। এরপর ইজিবাইক চালিয়ে সংসারের হাল ধরেন। এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন ফিরোজ। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনেও মাদক ইস্যু রয়েছে বলে ধারণা করছেন পুলিশ।

এসপি