২০২০ সালের বন্যায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ পাকা সড়ক ভেঙে যায়। সেসব রাস্তা সংস্কার না করায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ভেঙে যাওয়া পাকা রাস্তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গত বছরের বন্যায় উপজেলার মধুগুড়নই হয়ে পাঁচুপুর চারমাথা পর্যন্ত পাকা রাস্তা ভেঙে যায়। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সে সময় থেকেই মালিপুকুর,পাঁচুপুর, মধুগুড়নইসহ বেশ কয়েক গ্রামের লোকজনের যোগাযাগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান পাঁচুপুর বাজার। এখানে বাজার, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজার জন্য রয়েছ বৃহৎ একটি কালিবাড়ি। এ ছাড়াও সেখানে রাইচ মিল, স’মিল, ব্রেড ফ্যাক্টরিসহ ছোট ও মাঝারি বেশ কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। যে কারণে এলাকার শত শত লোকজন প্রতিনিয়ত পাঁচুপুর যাতায়াত করে থাকেন। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না করায় তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

মালিপুকুর গ্রামের গৃহবধূ সাফিয়া খাতুন বলেন, এ ভাঙন মেরামত না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে ভ্যান রিকশা চলাচল করছে না। আমি পাঁচুপুরে আটা ভাঙাতে গিয়েছিলাম। ভাঙনের কারণে রিকশা-ভ্যান না পেয়ে মাথায় করে আটা বহন করতে হয়েছে।  এটা খুবই কষ্টকর কাজ। 

শিকারপুর গ্রামর রুনা খাতুন বলেন, পাঁচুপুরে একজন চিকিৎসক রয়েছেন এলাকায় খুব জনপ্রিয়। রাস্তা ঠিক না করায় সেখানে যেতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঁচুপুর গ্রামের অধিবাসী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় এ রাস্তাটির এখানেই ভেঙে ছিল। পরবর্তীতে বালু ভরাট দিয়ে তা সংস্কার করা হয়েছিল। ২০২০ সালও একই জায়গায় ভেঙে যায়। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পরও রাস্তাটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। 

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে এটি সংস্কার করা হবে।  

শামীনূর রহমান/এনএফ