বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও উপনির্বাচনে অংশ নেব। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে গণমাধ্যমকে এই কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, সবসময় দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। অতীতে তার প্রমাণ পেয়েছেন এই অঞ্চলের মানুষ। বর্তমান উপনির্বাচনে এলাকাবাসীর ডাকে সাড়া দিয়ে দলের ঊর্ধ্বে গিয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়ন করতে চাই।

শফি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপি থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও আমি নির্বাচন করবো। আমার হারানোর কিছু নেই। এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের উন্নয়নের রাজনীতি করেছি আজীবন। তাই যতদিন বেঁচে আছি এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা চাই। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন বলেও জানান শফি।

উল্লেখ্য, শফি আহমদ চৌধুরী ২০০১ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের কাছে পরাজিত হন তিনি।

এদিকে গত ২৩ মে দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে গত ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

তুহিন আহমদ/এসকেডি