ফেনসিডিলের খালি বোতলের স্তূপ

নওগাঁর মান্দা থানা চত্বরের ভেতরের গ্যারেজে দেখা গেছে ফেনসিডিলের খালি বোতলের স্তূপ। থানার কড়া নিরাপত্তা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে ফেনসিডিলের বোতলগুলো কীভাবে এখানে এল, কারা এখানে রাখল তা নিইয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

থানা চত্বরে পশ্চিম পাশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বাসভবন। আর বাসভবনের গা ঘেঁষে পূর্ব পার্শ্বে মোটরসাইকেল গ্যারেজ। সোমবার (১৪ জুন) সকালে গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায়, কোনায় মোটরসাইকেলের নিচে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের ১০-১৫টি খালি বোতলের স্তূপ রয়েছে। 

থানায় আসা সেবাপ্রার্থী ও সচেতনদের প্রশ্ন, এগুলো আসলে কারা সেবন করে, কোথা থেকে আসে? পুলিশ মাদকসেবীদের ধরে জেল হাজতে পাঠায়। অথচ সেই থানা চত্বরের ভেতরে খালি ফেনসিডিলের স্তূপ! থানা চত্বরের ভেতরের গ্যারেজে যদি এ অবস্থা হয় তবে বাইরের পরিবেশ কেমন?   
 
সচেতন মহল বলছে- কোনোভাবেই এ অভিযোগের দায় এড়াতে পারেন না থানার কর্মকর্তারা। যেখানে সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে থানার ভেতরে ফেনসিডিলের বোতল স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে কীভাবে? 

নওগাঁ মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, আমরা মাদক নির্মূল নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সামাজিক আন্দোলন করি সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য। শুধু থানা চত্বরই না সব জায়গা মাদকমুক্ত রাখতে হবে। নওগাঁকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে আমরা দেখতে চাই। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, থানার মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে কীভাবে ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকে? থানার কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শামিল এটি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা উচিত এবং তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি ছবি থাকে তবে পাঠান। এরপর মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে থেকে প্রথম জানলাম। 

থানার ভেতর গ্যারেজে অনেকগুলো ফেনসিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে। থানার মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে এসব থাকা কতটুকু যুক্তিযোগ্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে সেটা তো আলামত সংরক্ষণের স্থান। তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

শামীনূর রহমান/আরএইচ