আজ থেকে দামুড়হুদায় ১৪ দিনের লকডাউন
করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত উপজেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
পরে বিকেলে জেলা প্রশাসন থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ১৪ দিনের লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দামুড়হুদা উপজেলায় বেশকিছু গ্রামে কঠোর বিধিনিষেধসহ চলাচল সীমিত করে ঘোষণা করেছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু ওই পদক্ষেপ পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ার ফলে এসব এলাকায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশে না দেওয়া পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলায় সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলায় সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় একদিনে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ। এ সময় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। নতুন ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদা উপজেলার।
এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের ও জেলার বাইরে ৭ জনের। এর আগে গত ৩ জুন ১৮৮ নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিশেষ করে দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি সভায় দামুড়হুদা উপজেলাকে পুরোপুরি ১৪ দিনের লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিকেলে এই সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সরকার ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুরসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আফজালুল হক/ওএফ