করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে খুলনা বিভাগের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।

বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার এখনো অনেক কম। সেই তুলনায় খুলনা বিভাগের অবস্থা ভয়াবহ। এর মধ্যে যশোর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার মানুষ উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ওই জেলাগুলোতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর হারও বেশি।

ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল বিভাগের সঙ্গে খুলনা, যশোর ও বাগেরহাট জেলা সড়ক পথে সরাসরি যুক্ত। এই জেলাগুলোতে মানুষের আসা-যাওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ বরিশাল বিভাগে অধিকহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই অবস্থায় খুলনা বিভাগের সঙ্গে বরিশাল বিভাগের সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সংক্রমণ ঝুঁকি কমবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সুপারিশ করা হয় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তাবনা এনেছি। করোনা প্রতিরোধে বিভাগীয় কমিশনার দফতরের গঠিত কমিটি তা বিবেচনা করে দেখবেন বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বিভাগে আক্রান্ত শনাক্তের পর থেকে আজ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩২৬ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯০ জন। বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বরিশাল জেলায়। এই জেলায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৮ জন। 
মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৩ জন। 

এরপর আক্রান্ত বেশি পটুয়াখালীতে। এই জেলায় ২ হাজার ৩৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৩ জন। ভোলায় মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৯৮৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ জন। পিরোজপুরে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৯০ জন। মারা গেছেন ৩২ জন। ঝালকাঠিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪০২ জন। মারা গেছেন ২৯ জন। বরগুনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৩১৩ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩২ জন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর