ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক/বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. কেএম কামরুজ্জামান জামান সেলিমের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে শহরের টিএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অনিয়মের অভিযোগ করেন নিলুফার ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, আমার স্বামী ডা. মো. আব্দুল্লাহ গত ২০২০ সালের ১৭ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালক পদে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বদলি হোন। ২৩ জুন তিনি সহকারী পরিচালক পদে ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২৪ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে.এম কামরুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি ওই সময় বলেন, বদলিকৃত কর্মকর্তার সন্তানদের ২৩ জুন স্কুল কমিটিসহ রেজুলেশন করে ভর্তি শেষ হয়েছে। তাই আপনি কিছুদিন অপেক্ষা করুন। স্কুল কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে আপনার সন্তানকে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে এবং আবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার কথা বলেন। কিছু দিন পর যোগাযোগ করলে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, পরবর্তীতে ভর্তির সময় বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্তও করেন জেলা প্রশাসক।

দীর্ঘ এক বছর কালক্ষেপণের পর চলতি বছরের ৩ জুন স্কুল কমিটিকে নিয়ে রেজুলেশন করে এবং গত ১০ জুন অতি গোপনে বদলিকৃত সরকারি কর্মকর্তার সন্তানদের প্রথম অগ্রাধিকার থাকার পরও আমার সন্তানকে কোনো কারণ ছাড়াই ভর্তি না নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম পছন্দমত বে-আইনিভাবে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেন। তারপর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে ভর্তির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে ঠাকুগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, সদ্য আমার এ জেলা থেকে বদলির আদেশ হয়েছে। তাছাড়া ভর্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ স্কুল কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার সন্তানের ভর্তির আবেদন বাদ পরে তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি (নিলুফার ইয়াসমিন) যেসব অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়।

নাহিদ রেজা/আরএআর