আটক ১৩ দালাল

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে আটক হওয়া ১৩ দালালকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরকারি কাজে বাধাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রত্যেককে এ দণ্ডাদেশ দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঈদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দালালদের আটক করেন র‌্যাব-১৪ এর সদস্যরা।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এনায়েত কবীর, মো. মনোয়ার হোসেন, মো. ফিরোজ মিয়া, মো. রতন মিয়া, মো. মনির হোসেন, মো. আলাল উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, মো. মাসুদুল করিম, মো. টুটুল আহম্মেদ শরীফ, মো. সোহেল মিয়া, মো. আলমগীর হোসেন ও মো. আসাদুল ইসলাম মিশু। আটকদের মধ্যে একজন তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। বাকিরা ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন এলাকায় থাকেন।

র‌্যাব ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটকরা সবাই মমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দালাল। তারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কৌশলে রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছিল। প্রতিদিন সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের চাপ শুরু হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভালো সেবা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া হতো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ও হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে রোগীদের জিম্মি করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সাধারণ রোগীরা যেন দালালদের দ্বারা প্রতারিত না হয় এবং সুষ্ঠুভাবে সেবা পান সে কারণে অভিযান চালানো হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ওবায়দুল হক/আরএআর