মাধবদী পৌর মেয়রসহ ১১ জনের নামে মামলা

নরসিংদীর মাধবদীতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে মাধবদী থানায় মামলা করেন গুলিবিদ্ধ সাবেক কমিশনার মো. জাকারিয়ার ভাই মো. আনোয়ার।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিরামপুর এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ, কোতোয়ালির চর এলাকার মো. মোজাম্মেল, টাটাপাড়া এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা জুনিয়র, ছোট মাধবদী এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে শাহিন মিয়া, ভগিরথপুর এলাকার নান্নু ভূইয়ার ছেলে আতাউর ভূইয়া, আদনান হোসেন, সাকিব, মো. মনিরুজ্জামান ওরফে নাতি মনির, নূর মোহাম্মদ এবং সেন্টু শীল।

এর আগে বুধবার (১৬ জুন) রাতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া (৩৯) ও বালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম (৩০)। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। শহরের রমনী কমিউনিটি সেন্টারের ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সভা চলাকালে মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে মিটিং না করতে নিষেধ ও গালাগালি করে চলে যান। মিটিং শেষে রাত ৮টার দিকে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার জাকারিয়াসহ ১০-১৫ জন নেতাকর্মী পৌরসভার মোড় হয়ে ফিরছিলেন।

এ সময় হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আটজন আহত হয়। আহতদের নরসিংদীর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর দুজনকে ঢামেকে পাঠানো হয়। 

মামলার বাদী মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক নিজেই গুলি করেছে। এ জন্য তাকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম দিয়েছি মামলায়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০ জনের নাম রয়েছে। তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তারাও একটা অভিযোগ করেছে। তবে সেটার সত্যতা নেই। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে মামলা হয়েছে। দুই পক্ষই মামলা করেছে। এক পক্ষের মামলায় মাধবদীর পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

রাকিবুল ইসলাম/এসপি