জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পশ্চিম মাতাপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৭২) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ১১ দিন পর তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও (৬৫) মারা গেছেন। শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

একই দিনে জয়পুরহাট পৌর শহরের পলিবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তাকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম হাবিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা একই দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বগুড়া সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। গত ৮ জুন আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন।  আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর ১১ দিন পর আজ তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জয়পুরহাট পৌরসভার দুই নম্বর ওর্য়াডের পলিবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা সালেহা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে শনিবার দুপুর ২টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার জয়পুরহাটে করোনায় দুইজনের মৃত্যুর কথা আমার জানা আছে।

শনিবার রাতে সিভিল সার্জনের করোনা সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্যে জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৫ জনের। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। করোনায় নতুন দুইজনের মৃত্যু তালিকাভুক্ত না হওয়ায় জয়পুরহাটে মোট মৃত্যের সংখ্যা ১৮ জন।

এদিকে ভারত সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে দিনদিন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও কালাই পৌরসভা এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভায় ২১ জুন পর্যন্ত গরুর হাট বন্ধের নির্দেশও দেওয়া আছে।

চম্পক কুমার/আরএআর