নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
আশুলিয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনকে তাদের গ্রামের বাড়ি সাভারের আশুলিয়ায় আনা হয়েছে। একই পরিবারের ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রামে চলছে শোক। নিহতদের এক পলক দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই বাড়িতে। তবে এতো মানুষের ভিড় থাকলেও নেই কোলাহল। যেন নীরবতায় আচ্ছাদিত পুরো এলাকা।
রোববার (২০ জুন) নিহতদের দুই জনকে প্রথম গ্রামের বাড়ি আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নে সকালে আনা হয়। পরে বিকেলে বাকি ৩ জনের মরদেহ লাশবাহী গাড়িতে করে আনা হয়। একই পরিবারের আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নিহতদের আসরের নামাজের পরে কবরস্থ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শনিবার (১৯ জুন) নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গোড়াশাল টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের সাকুড়ার মোড়ে দ্রুতগামী ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। বাকিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে আরও দুইজন মারা যান।
নিহতরা হলেন সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ঝিরাবো এলাকার ছাইফুলের স্ত্রী মুক্তি আক্তার (৩০) ও তার ছেলে সাদেকুল (৮), রশিদের স্ত্রী রুবি আক্তার (৩৩) ও তার মেয়ে রাহিমা (৫) এবং হারুনের শাশুড়ি রোকেয়া বেগম (৫২)। এ ঘটনায় রাহিমার বাবা রশিদ আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনাকবিত মাইক্রোবাস থেকে কোনোমতে বেঁচে ফেরা রবিউল ইসলাম জানান, তারা গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে পরিবারের ১২ জন মিলে আশুলিয়া থেকে রওনা হন সিলেটের মাজারের উদ্দেশ্যে। পর দিন সকাল ৮টার দিকে শাহজালাল মাজারে পৌঁছে সেখানে ঘোরাফেরা করেন।
পরে তারা যান শাহপরান মাজারে। সেখানে ঘোরাঘুরি করে জাফলংয়ে যান তারা। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হন সন্ধ্যায়। পরে নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গোড়াশাল টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের সাকুড়ার মোড়ে দ্রুতগামী ট্রাক মাইক্রোবাস ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে পেছন দিয়ে আমাদের গাড়িতে লাগিয়ে দেয়। গাড়ির পেছনের দুই সিটের ৫ জন মারা যায়। সামনের সবাই সামান্য আহত হই। আরও ৫ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের চালকরা আমাদের সহযোগিতা করেন। যখন তিনজন মারা যায় তখন তারা পালিয়ে যান।
মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর