দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর আগামী ২৪ জুন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব হোটেলে পর্যটক নয়, জরুরি প্রয়োজনে আদালতে হাজিরা কিংবা প্রশাসনিক কাজে এসেছেন এমন ব্যক্তিরা থাকতে পারবেন। এছাড়াও পূর্বের মতো সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

হোটেল মালিক, ব্যবসায়ী সংগঠন ও কর্মজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিন আল পারভেজ।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ এপ্রিল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে পর্যটকসহ লোকসমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় পর আগামী ২৭ জুন থেকে খুলছে আদালতসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সে কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু আইনি সেবা নিতে আসা বা প্রশাসনের লোকজন যারা হাজিরা দিতে আসবে তাদের জন্য হোটেলে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুরাদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে হোটেল, মোটেল ও কটেজ পরিচালনা করতে হবে। ৫০ শতাংশ কক্ষ খালি রাখতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে আসা লোকজনকেই কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে। ভ্রমণের জন্য আসা কাউকে কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। হোটেলসংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। তবে অতিথিদের কক্ষে খাবার সরবরাহ করা যাবে। বন্ধ থাকবে হোটেলের সুইমিং পুল। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সব কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রোধে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলায় লোকসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/আরএআর