বরিশালে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বরিশালে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
নিহত ব্যক্তির নাম আলতাফ খাঁন (৬১)। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার হাজীখালী গ্রামের মৃত হরমুজ খাঁনের ছেলে।
কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় ময়নাতদন্ত শেষে সাড়ে ৪টার দিকে মৃতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজীখালী গ্রামের খাঁন বাড়ির বাসিন্দা আলতাফ খাঁনের ভাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ঘরে প্রতিবেশী অন্য কারও ঘর থেকে একটি বিড়ালের বাচ্চা আসে। বিড়ালের বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন মরিয়মের সাত বছরের শিশুপুত্র।
বিড়ালের বাচ্চাটি দেখে পছন্দ হয় আলতাফ খাঁনের আট বছরের ছেলের। তিনিও বিড়ালের বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে দুই শিশুর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে আলতাফ খাঁনের শিশুপুত্র মরিয়মের ছেলেকে ঘুষি মারে। ঘটনা দেখে আলতাফ খাঁনের ছেলেকে থাপ্পড় দেন মরিয়ম। বিষয়টি দেখে প্রতিবাদ জানান মরিয়মের ভাসুর আলতাফ।
এ নিয়ে মরিয়ম ও আলতাফ খাঁনের মধ্যে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জেরে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মরিয়ম ও আলতাফ খাঁনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
তখন মরিয়ম তার ভাসুর আলতাফ খানকে কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। আঘাতে আলতাফ খাঁনের মাথা ফেটে যায়। আহত আলতাফ খানকে প্রথমে পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান আলতাফ খাঁন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে আমি নিহতের বাড়ি পরিদর্শনে গেছি। মারামারির ঘটনার পর অভিযুক্ত মরিয়ম পলাতক রয়েছেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএম