মাদকসেবীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আলাদা কারাগার তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সেখানে তারা যেন পরিবারের জন্য কিছু আয় করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হবে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শনে দেখা গেছে অধিকাংশ আসামিই মাদকসেবী। মাদকের কোনো উপকারিতা নেই। জনগণকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক করতে হবে।

রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এলাকাটির মানুষ কিছুটা অসহিষ্ণু, বিশেষত রায়পুরায় খুনাখুনি ও মারামারির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সন্ত্রাসীরা অবাধে অপকর্ম চালাচ্ছে এবং তাদের হাতে অস্ত্রও রয়েছে। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে শিগগিরই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সমন্বয়ে অপারেশন পরিচালনা করা হবে।

এ বছরের ১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই সময় কারাগার থেকে ৮২৬ জন বন্দি পালিয়ে যায় এবং ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ হাজারের বেশি গুলি লুট হয়। এখনো ১৮৪ জন পলাতক আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে। উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ২৯টি অস্ত্র ও পাঁচ হাজারের বেশি গুলি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কারাগার থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্রের বিষয়টি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। 

রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আশির দশক থেকে এলাকাটি আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে অস্থির বলে প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নরসিংদী পুলিশ লাইন্সে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে পুলিশ লাইন হাসপাতাল, রেশন স্টোর, খাবার ব্যারাকসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

এ সময় নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-ফারুকসহ প্রশাসনের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেদী হাসান সৈকত/আরএআর