দোয়ারাবাজারে ভোগান্তির নাম সংযোগ সড়ক
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগানবাড়ী বর্ডার হাটের সংযোগ সড়কের বেহাল। অনেক জায়গায় নেই পাকা অংশ। এদিকে মাটির সংযোগ সড়কটিতে রয়েছে প্রচুর গর্ত। এসব গর্তের জন্য দুই চাকার মোটরবাইক চলাচলও বিপজ্জনক। তিন ও চার চাকার যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাগানবাড়ীতে বর্ডার হাট হলেও ছাতক যাওয়ার সড়কের বেহাল দশার জন্য ব্যবসায়িক সুবিধা করতে পারবেন না বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন
ছাতক থেকে বোগলির বাজার হয়ে নতুন এই বর্ডার হাটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসন যদি সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়, তাহলে বর্ডার হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য ভালো হবে। নয়তো যে উদ্দেশ্যে বাগানবাড়ীর বর্ডার হাটটি চালু হচ্ছে, সেটি সফল হবে না।
সরেজমিন দেখা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলাসহ অন্যান্য এলাকা থেকে বর্ডার বাজারে যাতায়াত করার সব সড়কে খানাখন্দে ভরপুর। এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। সুরমা নদী হয়ে বর্ডার হাটে পণ্য পরিবহনের সড়কেরও বেহাল। ছাতকের লাফাজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি হয়ে বাগানবাড়ীর সীমান্ত বর্ডার হাটে যাওয়ার সড়কটির প্রশস্ততা খুবই কম। চার চাকার যান চলাচল অনুপযোগী হলেও বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়কটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। চার চাকার গাড়িতেই পুরো রাস্তা দখল হয়ে যায়। বিপরীত দিকে যান এলে পড়তে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনায়।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী জানান, যদিও হাটের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীরা এই হাটে যেতে পারবেন। এ ছাড়া শহর থেকে কেনাকাটা করতেও অনেকে বর্ডার হাটে আসেন। ক্রেতাদের আসতে যদি দুর্ভোগের শিকার হতে হয়, তাহলে কেউ আসবে না। সিলেট থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতে পারবেন না। এ ছাড়া স্থানীয়দের পণ্য নেওয়ারই ব্যবস্থা নেই এই বর্ডার হাটে।
বাগানবাড়ীর বাসিন্দা আজাদ ইসলাম বলেন, আমাদের সিমান্তে দুদেশের জন্য হাট হয়েছে। এতে আমরা খুশি। কিন্তু এই হাট চালুর আগে রাস্তাটা আমরা চাই। রাস্তা না হলে এই হাটের সুবিধা নিতে পারবেন না এলাকাবাসী। এ ছাড়া বিভাগীয় শহর সিলেট যেতে ছাতক হয়ে যেতে হয়। সড়কটির বেহাল হওয়ায় সব সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান তিনি।
এসডিআইয়ের প্রকল্প থেকে রাস্তাটির জন্য একটি প্রকল্প আছে। ইতিমধ্যে একটি প্রাক্কলনও করেছি। পরিচালক মহোদয়ের বরাবর সেটি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি বাগানবাড়ীর বর্ডার হাট উদ্বোধনের আগেই রাস্তাটি করতে পারব।
দেবতোষ পাল, উপজেলা প্রকৌশলী
ছাতকের বাসিন্দা বাবুল রায় বলেন, ছাতক থেকে বোগলির বাজার হয়ে নতুন এই বর্ডার হাটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রশাসন যদি সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়, তাহলে বর্ডার হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য ভালো হবে। নয়তো যে উদ্দেশ্যে বাগানবাড়ীর বর্ডার হাটটি চালু হচ্ছে, সেটি সফল হবে না।
এদিকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সীমান্তের বাগানবাড়ীর এই বর্ডার হাট পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল। তিনি বর্ডার হাটের নির্মাণকাজ এবং যোগাযোগ সড়কের বিষয়ে দুই দেশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বাগানবাড়ী এই বর্ডার হাট চালু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী দেবতোষ পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসডিআইয়ের প্রকল্প থেকে রাস্তাটির জন্য একটি প্রকল্প আছে। ইতিমধ্যে একটি প্রাক্কলনও করেছি। পরিচালক মহোদয়ের বরাবর সেটি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি বাগানবাড়ীর বর্ডার হাট উদ্বোধনের আগেই রাস্তাটি করতে পারব।
এনএ