আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। এতে ভোটাররা কীভাবে ভোট প্রদান করবেন, এ নিয়ে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়।

যেভাবে ইভিএমে ভোট দেবেন
ভোটার বুথে যাওয়ার পর পোলিং কর্মকর্তা প্রথমে আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এরপর ডেটাবেইসে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই প্রজেক্টরের ডিসপ্লেতে সেটি দেখা যাবে। পরবর্তীতে একটি টোকেন ভোটারকে দেওয়া হবে। ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে যাবেন। টোকেন দেখে স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে ব্যালট ইস্যু করে দেবেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

এবারও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ইভিএমে। যার জন্য আমরা কর্মকর্তাদের কয়েক দফা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটারা তাদের ভোট দিতে পারবেন।

মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রিটার্নিং কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম

এরপর ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাঁ দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করে ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের কনফার্ম বোতাম চেপে ভোটদান শেষ করবেন। ভুল প্রতীক সিলেক্ট হয়ে গেলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের ক্যান্সেল বোতাম চেপে পরবর্তীতে সঠিক প্রতীক সিলেক্ট করতে পারবেন ভোটাররা। তবে এ সুযোগ দুবারের বেশি পাওয়া যায় না।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এবারও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ইভিএমে। যার জন্য আমরা কর্মকর্তাদের কয়েক দফা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটারা তাদের ভোট দিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দেন ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের ভোটাররা। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের চসিক ১৫ থেকে ২৩ এবং ৩১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত ১৪ ওয়ার্ডের ভোটাররা ইভিএমে ভোট দেন। এর আগে ভোটারদের ইভিএম-ভীতি দূর করতে মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

এনএ