রাজবাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাসেম (৭১)। যুদ্ধের সময় ২২ বছরের এই যুবক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দেশমাতৃকার টানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে। বাবা-মাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে তাদের না জানিয়েই প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান ভারতে। দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েন শত্রুদের বিরুদ্ধে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে নানান ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন তিনি।

ঢাকা পোস্টের কাছে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এভাবেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার স্মৃতিচারণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাসেম। রণাঙ্গনের রক্তঝরা সেসব দিনের কথাগুলো তরুণ প্রজন্মকে জানাতে আজ থাকছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ।

মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুপ্রেরণা

‘১৯৭১ সালে আমি ঢাকা সিটি কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র ছিলাম। ৭ মার্চ যখন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ভাষণের দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। তখন সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে যে জোয়ারটা এসেছিল রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার, সেখানে আমিও শামিল হতে সক্ষম হয়েছিলাম। রেসকোর্স ময়দানের মাঠে পৌঁছাতে না পারলেও মাঠ থেকে আধা মাইল দূরে দাঁড়িয়ে সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেখানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণ আমি নিজ কানে দাঁড়িয়ে শুনেছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের যে দিকনির্দেশনা ছিল, সেগুলো আমরা পরতে পরতে উপলব্ধি করেছিলাম। সেখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুপ্রেরণা আমার।

যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন

‘২৫ মার্চ কালরাত আমি দেখিনি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, রেডিওতে ও লোকমুখে সেই বর্বরতা জানতে পারলাম। সেই রাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদাররা ঢাকাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। তারা সেদিন অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়।

রাজবাড়ীতে ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রবেশ করে। গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে সেনাবাহিনীর নিজস্ব গানবোট ও অন্যান্য বোট নিয়ে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর অঞ্চলে প্রবেশ করে। তখন সেখানেও একটি প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের কাছে সেই প্রতিরোধ টিকতে পারে নাই। তখন সেনাবাহিনী নির্দ্বিধায় রাজবাড়ীতে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দিয়েই শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ। তখন সেনাবাহিনীর একটি গ্রুপ রাজবাড়ী, খানখানাপুর ও ফরিদপুরে যায়। সর্বপ্রথম তারা রাজবাড়ীতে দুইজন ছাত্রকে হত্যা করে। কাজী হেদায়েত হোসেনের বাড়িতে আগুন দেয় এবং তার বাসার পাশেই টুনা এবং বাবুলকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা বাজারে ঢুকে আগুন দিতে থাকে, মানুষের ওপর অত্যাচার শুরু করে।

আমরা বন্ধুরা মিলে চিন্তা করলাম, দেশকে বাঁচাতে হবে। তখন আমরা জানতে পারলাম ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তখন আমি, আমার এক বন্ধু ভারতের অভিমুখী রওনা হই। ৭/৮ দিন পায়ে হেঁটে আমরা ভারতে পৌঁছাই। জলঙ্গী দিয়ে মুর্শিদাবাদ পার হয়ে আমরা ভারতে গিয়ে শিকারপুর ক্যাম্পে ও করিমপুর ক্যাম্পে গিয়ে নাম লিখিয়ে সেখানে কিছুদিন থাকার পরে উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য বিহারের চাকুলিয়ায় গেলাম। সেখানে এক মাস ট্রেনিং হলো। বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ তারা আমাদের দিলো। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা কলকাতায় ফিরে আসলাম। পরে বাংলাদেশে ঢুকে ৮ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হুদার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে ১১ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করলাম। সেই গ্রুপের আমি ছিলাম গ্রুপ কমান্ডার। আমার সঙ্গে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের যোদ্ধারা ছিল। তখন অস্ত্র নিয়ে আমরা জুলাই মাসে রাজবাড়ীতে প্রবেশ করলাম। রাজবাড়ীতে এসে রশোরা দত্ত বাড়িতে ক্যাম্প করলাম। তখন যেসব যুবক ভারতে যেতে পারেনি তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষণ নিলো। এভাবেই আমার যুদ্ধে যাওয়া।

যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সেই সময়টা আমার হয়নি। যুদ্ধের সময় আমি ছন্নছাড়া হয়ে বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম। বাবা-মা নিরাপদ আশ্রয়ে গেল। তখন তাদের কাছে আমি না বলে একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজবাড়ীতে আসি। পরে যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিই।

রাজবাড়ীতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি টিম ছিল। আমার একটি টিম, সিরাজ আহম্মেদ, ডা. কামরুল হাসান লালী, হাসান, শহিদ উন নবী আলম ও জলিল মাস্টারের টিম। এ ছাড়া, রাজবাড়ীর অন্যান্য থানা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এসে যুদ্ধ করত। আমরা তখন সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলাম। রাজবাড়ীতে অনেক বিহারি ছিল। দুইটা কলোনিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিহারি পরিবার নিয়ে বসবাস করতো। তাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। তারা নিরীহ বাঙালিদের ধরে নিয়ে তাদের লোকশেডের পাশে টর্চার সেলে বন্দি করে মেরে ফেলতো। বিহারিরা অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে এই বধ্যভূমিতে নিয়ে এসে ফেলতো।

সহযোদ্ধার নিয়ে স্মৃতিচারণ

‘ইসলামের গ্রুপে খুশি নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। খুশি আলাদিপুরে একটি অপারেশন করবে সিদ্ধান্ত নেয়। আলাদিপুরের পাশেই একটা মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্প ছিল, কিন্তু খুশি সেটা ইনফর্ম করেনি। সে সময় খুশি দুই-একজনকে সঙ্গে নিয়ে একাই আলাদিপুর ব্রিজে একটা অপারেশনে যায়। সেখানে অসংখ্য বিহারী ও রিফিউজি ছিল। খুশি মাঠ দিয়ে আলাদিপুরে প্রবেশ করে বিহারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে বিহারীদের পাল্টা গুলি খুশির বুকে লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই সে মৃত্যুবরণ করে। তখন বিহারীরা খুশির লাশটা ট্রাকে করে এনে রাজবাড়ী শহর ঘুরিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। পরে বিহারীরা খুশির মরদেহটা রাজবাড়ী স্টেশনের কাছে ফেলে রেখে চলে যায়। সেই সময়ের রোমহর্ষক কাহিনীটি এখনো আমাকে নাড়া দেয়। যুদ্ধের ৫৪ বছর পার হলেও এখনো সেই সব রণাঙ্গনের সহযোদ্ধাদের কথা মনে পড়ে। তারা অসুস্থ হয়ে গেলে সেবা করতাম, তাদের বিভিন্ন কথা শুনতে হতো।’

যুদ্ধের সময় আমরা বিভিন্নভাবে খাবার সংগ্রহ করতাম। যারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক, বিত্তবান লোক তারা আমাদেরকে খাবারের যোগান দেন। তারা আমাদেরকে দেখভাল করে। ক্যাম্পের কেউ অসুস্থ হলে যারা এলাকায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন তাদেরকে আমরা খোঁজ করে ক্যাম্পে নিয়ে এসে সহযোদ্ধাদের চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করতাম।’

দেশ স্বাধীন হওয়ার খবর যেভাবে পেলেন

‘১৬ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর কাছে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, এটা আমরা রেডিওর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। আমরা খবর শোনার জন্য একটি রেডিও সংগ্রহ করেছিলাম। সেই রেডিওর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার খবর পাই। সেই বিজয়ের রেশ আমাদের এই অঞ্চলেও দেখা গিয়েছিল। যখন পাকিস্তানি হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছে, তখন আমাদের এই অঞ্চলে পালিয়ে থাকা হানাদাররা ছোটাছুটি শুরু করে। তখন তারা খালি গায়ে পদ্মার চরের অভিমুখী গিয়েছিল। তখন সেখানে তাদেরকে আটক করে মেরে ফেলে সাধারণ মানুষ। ১৬ ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ স্বাধীনের ঘোষণা দেওয়া হয় তখন বিহারিরাও স্তম্ভিত হয়ে যায়। বিহারিরা একসময় বলেছিল, সারা পাকিস্তান বাংলাদেশ হয়ে গেলেও রাজবাড়ী পাকিস্তানই থাকবে। এমনইভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তারা।’

রাজবাড়ী স্বাধীন হয় ১৮ ডিসেম্বর

‘১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও রাজবাড়ী স্বাধীন হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর তারিখে। এরও একটা কারণ ছিল। রাজবাড়ী ছিল বিহারী ও অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা থেকে বিহারীদের সংখ্যা ছিল কয়েক গুণ বেশি। এ ছাড়া, বিহারিদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অন্যান্য জায়গা থেকে পালিয়ে আসা পাকিস্তানি সৈন্যরা। তারা বিহারিদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করে। যার কারণে তাদেরকে আমরা পিছু হটাতে পারিনি। ১৬ ডিসেম্বরের পরে খুলনা থেকে আকবর নামের এক মুক্তিযোদ্ধা টুইনস মর্টার নিয়ে রাজবাড়ীতে আসে। তখন আমরা থানার ওপর সেই মর্টারটা স্থাপন করি। যখন শত্রুপক্ষের উদ্দেশে মর্টার নিক্ষেপ করা হয় তখন তারা পিছু হটতে শুরু করে, অস্ত্রধারী বিহারিরা পালিয়ে যায়। ১৮ ডিসেম্বর তারা পিছু হটার পর আমরা শহরে প্রবেশ করি এবং রাজবাড়ী স্বাধীনতা ঘোষণা করি।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও স্মৃতিগুলো আবেগপ্রবণ করে তোলে

‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সেই স্মৃতিগুলো আবেগপ্রবণ করে তোলে। এই বধ্যভূমি, স্মৃতিসৌধে আসলে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে বিগত দিনের সেই ৭১-এর কথা মনে পড়ে যায়, মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে যায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সঙ্গে থাকা সহকর্মীদের কথা, বন্ধুবান্ধবের কথা মনে পড়ে যায়। অনেক সাথী যোদ্ধা মারা গিয়েছেন। যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে ডেকে মাঝেমধ্যেই আলাপচারিতা করি। তখন চায়ের আড্ডাতে বসে আমরা অনেক স্মৃতিচারণ করি।’

‘দেশটা স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে থাকবে, তাদের কোনো দুঃখ কষ্ট থাকবে না, এখানে কোনো হানাহানি থাকবে না, কাটাকাটি থাকবে না, আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে সাজাবো। এই দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবো। দেশটা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাবে। এই ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আমাদের, সঙ্গে সঙ্গে এদেশের সাধারণ মানুষেরও ছিল। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিল।’

বর্তমান প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান

‘মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস আরও প্রচার করা প্রয়োজন। দেশে হয়তো মুক্তিযোদ্ধারা বেশি দিন বেঁচে থাকবে না, তাদের বয়স হয়ে গেছে। অনেকের বয়স একশ ছাড়িয়েছে। আমরা কেন যুদ্ধ করেছিলাম, যুদ্ধের পরে আমরা কি চেয়েছিলাম, আমাদের আশা কি ছিল—এই তথ্য সংগ্রহ ও লেখালেখি করা অবশ্যই প্রয়োজন। যারা শিক্ষিত হয়েছেন এবং এগুলো নিয়ে গবেষণা করেন ও লেখালেখি করেন, আমি তাদের অনুরোধ করবো আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসগুলো লিপিবদ্ধ করুন।’

মৃত কাশেম আলী বাকাউল ও মৃত আয়শা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাসেম। তার জন্ম ১৯৫৪ সালে রাজবাড়ীর লক্ষ্মীকোল গ্রামে। ২ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় সন্তান। যুদ্ধের সময় ২২ বছরের তরতাজা এক যুবক ছিলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে রাজবাড়ীর ইয়াছিন স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন ঢাকা সিটি কলেজে। সেখানে ইন্টারমিডিয়েটে পড়া অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। যুদ্ধের পর পড়ালেখা শেষ করে ব্যবসা পেশায় যুক্ত হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাসেম ৮ নম্বর সেক্টরে মেজর মনজুরের অধীনে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১২০০-এর মতন। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ মুক্তিযোদ্ধা মারা গিয়েছেন।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে