হত্যা মামলার আসামির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল আরও এক প্রাণ
বরগুনায় এক যুবকের বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শৈলেন চন্দ্র শীল (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি বরগুনার আল মামুন এন্টারপ্রাইজ ব্রিকসের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক শৈলেন চন্দ্র শীল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। শুক্রবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনার পুলিশ লাইন্স সড়কের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম রাইয়ান বিন অন্তর (২১)। তিনি বরগুনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। ২০২০ সালের ২৭ মে ঈদুল ফিতরের দিন বরগুনা সদর উপজেলার গুলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে সংঘটিত হৃদয় হত্যাকাণ্ডের এজহারভুক্ত সাত নম্বর আসামি রাইয়ান বিন অন্তর। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আল মামুন এন্টারপ্রাইজ ব্রিকসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেনের পুলিশ লাইন্স সড়কের বাসায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঢুকছেন শৈলেন চন্দ্র শীল। এ সময় তার পিছন দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে শৈলেন চন্দ্র শীলের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দেন রাইয়ান বিন অন্তর।
বিজ্ঞাপন
এতে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান শৈলেন চন্দ্র শীল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে বরিশাল যাওয়ার পথে শৈলেন চন্দ্র শীলকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি পটুয়াখালী সুবিদখালী নামক এলাকায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাইয়ান বিন অন্তরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/ওএফ