পাবনার ঈশ্বরদীতে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ আনুমানিক ৬ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের শেরশাহ রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

চুরির শিকার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার মো. শরিফুজ্জামান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং জড়িতদের শনাক্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী উপপরিদর্শক মো. শরিফুজ্জামান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ প্রয়োজনে স্ত্রীসহ বাসা তালাবদ্ধ করে বাইরে যান তারা। রাত ৮টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রান্নাঘরের এক্সিট ফ্যান ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভাঙা অংশ দিয়ে একটি শিশুকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়।

এ সময় বাসার ওয়ারড্রব থেকে প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার, ছয় ভরি রূপা, একটি ডায়মন্ডের নাকফুল, নগদ ২ লাখ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে তিনি জানান।

ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় এমন চুরির ঘটনা আমাদেরকেও বিস্মিত করেছে। রান্নাঘরের এক্সিট ফ্যান ভেঙে অল্প জায়গা দিয়ে শিশু প্রবেশ করিয়ে চুরি করার কৌশলটি অভিনব ও বিরল। চোরদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

এদিকে, পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় সংঘটিত এ চুরির ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সচেতন মহলের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যখন একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় এভাবে চুরি হতে পারে, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

রাকিব হাসনাত/এএমকে