বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের চাপে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে জিলহজ আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পুরান বাউশিয়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জিলহজ আক্তার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা কামরুল হাসানের স্ত্রী। তারা গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামের আব্দুল হাসানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুল হাসান দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে গজারিয়ায় একটি খাবার হোটেলে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করছেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী জিলহজ আক্তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কুমিল্লা থেকে স্বামীর কাছে গজারিয়ায় আসেন।

নিহতের স্বামী কামরুল হাসান জানান, তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে নিয়মিত চাপ প্রয়োগ করায় পরিবারটি কুমিল্লা ছেড়ে গজারিয়ায় চলে আসে। রোববার রাতে পরিবারের সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখতে পান তার স্ত্রী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরে ওড়না কেটে মরদেহ নিচে নামিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করে পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 

ব.ম শামীম/আরএআর