ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ও বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পৃথক অভিযানে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯), প্রয়াত আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) এবং জামাল মিয়ার ছেলে ইমন (২৫)। তারা তিনজনই নিহত শিশুটির পরিবারের প্রতিবেশী।
বিজ্ঞাপন
ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ জানান, র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ফয়সাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র বিচারক ইয়াসির আরাফাতের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। পরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আসামিরা। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই মাদকাসক্ত এবং তারা সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে ফয়সালকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকালে তার বাড়িতে নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাঙচুর চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে বন্দর উপজেলার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় বাসার সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হয় ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু। পরদিন সোমবার সকালে প্রতিবেশীর একটি বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ধলাগাঁও গ্রামে। মরদেহ উদ্ধারের দিন রাতেই বন্দর থানায় অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের মা।
মেহেদী হাসান সৈকত/আরএআর