তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
ঢাকামুখী পদ্মায় রাজশাহীর নেতাকর্মীদের ভিড়
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৪ ডিসম্বর) বিকেলের পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে রেলওয়ে স্টেশন ছিল নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর। ট্রেনটি বিকেল ৪টায় বিপুলসংখক যাত্রী নিয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখী রওনা দেয়।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল পৌনে ৪টায় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসলে দলে দলে নেতাকর্মীরা ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনের প্রতিটি বগি ছিলো যাত্রীতে ঠাসা। ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, তারেক রহমান দেশে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত তারা। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যাত্রা করছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। কেউ ট্রেনে কেউবা যাত্রীবাহী বাস, কার বা মাইক্রোবাসে দলে দলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্য একটাই- তারেক রহমনকে সরাসরি দেখা। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনকে ঘিরে তার মুখের কথা শোনা।
মতিহার থানা বিএনপির নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, এই দিনটার জন্য আমরা বহু বছর অপেক্ষা করেছি। কাঙ্ক্ষিত সেই দিন চলে এসেছে। আজ মনে হচ্ছে, বিএনপি আবার নতুন উদ্যমে জেগে উঠবে- তারেক রহমানকে পেয়ে। তারেক রহমান শুধু আমাদের রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক। তার দেশে ফেরা মানে গণতন্ত্রের নতুন সূচনা।
বিজ্ঞাপন
ছাত্রদলের এক তরুণ কর্মী আসিক বলেন, আমরা সবাই ঢাকায় যাচ্ছি। আমাদের নেতা আসবেন। তাকে বরণ করতে। তারেক রহমানকে পাওয়া রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটা আমাদের আবেগের বিষয়। তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানে বিএনপি চাঙ্গা হওয়া। ২৫ ডিসেম্বর নেতাকর্মীরা তাকে শুধু এক পলক দেখার জন্য ঢাকায় যাচ্ছে। তার মুখের কথা শোনার জন্য নেতাকর্মীরা সেখানে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার বলেন, ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে। এই ট্রেনে কোনো অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হয়নি। তবে রাতের ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন অতিরিক্ত তিন থেকে চারটি বগি অতিরিক্ত যুক্ত করার কথা রয়েছে।
শাহিনুল আশিক/আরএআর