যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন হারিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। ওই আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ।

বুধবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে মনোনয়নের টিকেট প্রদান করা হয়। টিকেটে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর রয়েছে।

এর আগে এ আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন শ্রাবণ। এর পর গত দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আবুল হোসেন আজাদ

মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণের অনুসারীদের হতাশা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে আজাদের অনুসারীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা। তবে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল হোসেন আজাদ দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কেশবপুর বিএনপির দুঃসময়ে একজন পরীক্ষিত সংগঠক হিসেবে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। রাজনৈতিক হামলা-মামলার কঠিন সময়েও তিনি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের জন্য সাহসী আশ্রয়স্থল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

কেশবপুরে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় করতে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ত্যাগ, শ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দলকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সৎ, নিষ্ঠাবান ও রাজপথে পরীক্ষিত এই নেতা আন্দোলন-সংগ্রামে কখনোই পিছপা হননি।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও আবুল হোসেন আজাদ ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও দলীয় পার্টি অফিস স্থাপন ছাড়াও নিজ জমিতে বিনামূল্যে দোকানঘর বরাদ্দ দিয়ে অসংখ্য অসহায় পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার এসব মানবিক উদ্যোগ কেশবপুরবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ নভেম্বর প্রাথমিক মনোনয়ন না পেলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন—এমন আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেছিলেন, যা অবশেষে বাস্তবায়িত হলো।

রেজওয়ান বাপ্পী/এসএমডব্লিউ