চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও
নেত্রকোনার মদনে ৩৫ বছর বসয়ী যুবকের সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর (১৪ বছর) বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেন। বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানাও করেন তিনি।
সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
ইউএনও বলেন, রোববার (২৭ জুন) রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে বাল্যবিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে রাতেই আমি মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলমকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। তবে বর আমাদের উপস্থিতি ঠিক পেয়ে পালিয়ে যায়।
বর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ঝরনা আক্তার নামে তার একজন স্ত্রী রয়েছে। মঞ্জু নেত্রকোনা সদর উপজেলার গরুরহাট এলাকার মল্লিক মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আগেই পালিয়ে যায়। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে আয়োজন করার অপরাধে কিশোরীর বাবাকে এক হাজার টাকা এবং বরের স্ত্রী ঝরনা আক্তারকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে কোথাও বিয়ে দেওয়া যাবে না মর্মে মেয়ের বাবার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারও নেওয়া হয়।
জিয়াউর রহমান/এসপি