তিস্তা-ধরলার পানি বাড়ায় আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ
দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বিপাকে পড়েছেন লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার খেটে-খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লালমনিরহাটে নদীতীরবর্তী মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানি জমেছে জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায়। এসব পানি তিস্তা ও ধরলা নদীতে চলে আসায় পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও ভারত থেকে পানি বাংলাদেশে তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে ছেড়ে দেওয়াতে পানি বৃদ্ধি হয়। যদিও ব্যারাজের গেট খুলে না দিয়ে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে দাবি করেছে ডালিয়া ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, শুকিয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় তিস্তা আবারও ফুলে ফেঁপে উঠে ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রূপ। হেঁটে পাড়ি দেওয়া তিস্তায় চলতে শুরু করেছে নৌকা। হাঁকডাক বেড়েছে মাঝি-মাল্লাদের।
চরাঞ্চলের আমিন মিয়া বলেন, প্রতি বছর তিস্তাপাড়ের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। কিন্তু সরকার তিস্তা পাড়ে বাঁধ নির্মাণ করার কোনো চিন্তা করে না। আসছে আবারও বন্যা, এই বন্যায় তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষের যে কী হবে বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট না খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমএসআর