গ্রেফতার ইয়াছিন আরাফাত ও সোহেল মিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পুনিয়াউট এলাকার অটোরিকশা চালক মো. আসিফ (২০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যার পর লুট করে নেওয়া নিহতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছে দুই খুনি সোহেল মিয়া (৩৪) ও ইয়াছিন আরাফাত (৪২)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুন) গ্রেফতাররা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআইয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতার সোহেল জেলার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার ছেলে ও ইয়াছিন একই উপজেলার মসজিদপাড়ার মৃত হীরা মিয়ার ছেলে।

পিবিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর জেলা সদরের পুনিয়াউট এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে আসিফ গ্যারেজ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামে রেললাইনের ওপরে আসিফের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন আসিফের মা রাশিদা। পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

পরে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মামলাটি পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মিজানুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৭ জুন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সোহেলকে আখাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান জানান, ওইদিন (৩০ নভেম্বর) রাতে সোহেল ও ইয়াছিনসহ আরও কয়েকজন সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশনের কাছে গাঁজা সেবনের জন্য আসে। তখন স্টেশনের সামনে আসিফের অটোরিকশা দেখতে পায় সোহেল ও ইয়াছিন। তারা দুইজন আখাউড়া বাইপাস এলাকায় যাওয়ার জন্য আসিফের অটোরিকশায় ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পরই তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসিফকে গলা কেটে হত্যা করে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। 

তিনি বলেন, অটোরিকশায় ওঠার পর আসিফকে খুন করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন সোহেল ও ইয়াছিন। ঘটনার ছয় মাস পর আসিফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ব্যবহার শুরু করেন সোহেল। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তার দেওয়া তথ্য মতে গত ২৮ জুন ইয়াছিনকেও গ্রেফতার করা হয়। ইয়াছিনের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর