ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম উঠাতে গিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতিজার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর ভাইয়ের বাসা থেকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। 

তবে পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ যাওয়ার আগে শিকলে বাঁধা থাকলেও পুলিশ গিয়ে তা পায়নি। ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মাউলতলা গ্রামে।

পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার গুয়াবাড়িযা ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামে চেয়ারম্যান শাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা সোহেল তালুকদারের কাছে ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম তোলার জন্য গিয়েছিলেন স্থানীয় ওই গৃহবধূ। এই সুবাদে কার্ড দেওয়া এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল কয়েক সন্তানের জননীর সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। কিন্তু ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম ওঠানো বা তাকে বিয়ে— কিছুই করছিলেন না সোহেল। শেষে রোববার (২৭ জুন) ওই নারী সোহেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। গৃহবধূকে দেখে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যান সোহেল।

এদিকে সোহেলের স্বজনরা ওই নারীকে মারধর করে তার ভাইয়ের জিম্মায় ফেরত দেন। বোনকে জিম্মায় আনলেও সোহেলের চাচা চেয়ারম্যান হওয়ায় ভয়ে বিচার চাইতে পারেননি। শেষে নিজের বোনকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন ভাই। খবর পেয়ে হিজলা থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই নারীকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে শুনে পুলিশ গেলেও পুলিশ পৌঁছার আগে তা খুলে ফেলেছে হয়তো। ওই নারীকে তার ভাই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় তার কোনো অভিযোগ নেই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ছেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস