পালানোর ১৫ ঘণ্টা পর সেই রোহিঙ্গা গ্রেফতার
মো. সাহেদ
নোয়াখালীর ভাসানচর থানার হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা যুবক মো. সাহেদকে (২৮) পালানোর ১৫ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাখালদের খালি ঘর থেকে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
মো. সাহেদ ভাসানচরের ৫৬ নম্বর ক্লাস্টারের এম-৬ রুমের বাসিন্দা। সাহেদ নৌবাহিনীর ওয়্যার হাউস ভাঙচুরের ঘটনায় গত জুন মাসে হওয়া মামলার আসামি।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভাসানচরের গহীন জঙ্গল ও কাদাপানি অতিক্রম করে ১৫ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে রাখালদের খালি ঘর থেকে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টা ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি হাজতখানার জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর দশম থানা হিসেবে গত ১৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভাসানচর থানার উদ্বোধন করেন। হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা নিয়ে এই থানা গঠিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজর ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছর ২৯-৩০ জানুয়ারি ২ হাজার ৪২১ জন এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৬০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। আরও দুই ধাপে স্থানান্তরের পর ভাসানচরে বর্তমানে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৪৭।
হাসিব আল আমিন/এনএ