প্রশিক্ষণ কোর্সের অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

যশোরে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের অধিবেশনে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, বিভিন্নভাবে বিকৃতি করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এমনকি মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার ইতিহাসও সেভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। আর তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত যুগোপযোগী এই ট্রেনিং। মুক্তিযুদ্ধ-গণহত্যার ওপর প্রশিক্ষণ ও এর ওপর গবেষণমূলক কর্মকাণ্ড বিকৃত ইতিহাস পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১’ শীর্ষক সপ্তম প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সন্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রেও অনেক বড় অবদান রাখবে এই প্রশিক্ষণ। কারণ প্রশিক্ষণার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বিভিন্ন অজানা দিকগুলো এখান থেকে জানতে পেরেছেন। আর তাদের মাধ্যমে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি নির্যাতন সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবেন।

এর আগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর শুরু হয় আলোচনা পর্ব।

সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুর্শিদা বিনতে রহমান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।

এদিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুনশি মেহেরুল্লাহ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবু কামাল, যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পারভীনা খাতুন প্রমুখ।

সমাপনী অধিবেশনের পর প্রর্দশিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র গেরিলা। গেল বছরের ১১ ডিসেম্বর ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। প্রশিক্ষণ আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যশোর শিক্ষা বোর্ড।

এমএসআর