রংপুরে ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬১৮
রংপুর বিভাগে সোমবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ৪ জন, রংপুরের ৩ জন, দিনাজপুরের ৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২ জনসহ পঞ্চগড় ও নীলফামারীর ১ জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ছয় দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারাল ৭৩ জন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ৬১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২০৯, রংপুরের ১২১, ঠাকুরগাঁওয়ের ১০৫, নীলফামারীর ৪০, লালমনিরহাটের ৩২, কুড়িগ্রামের ২৯ জনসহ পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার জেলার ২৮ জন করে রয়েছে। বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৭৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩০৯ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ জুলাই) বিভাগের আট জেলার ১ হাজার ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৬১৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে বিভাগের হিলি ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও সাতজন দেশে ফিরেছেন।
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে সোমবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৯ হাজার ৫৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫৯২ জন।
এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় করোনাভাইরাসে ৯ হাজার ৫৩৭ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০৯ জনে রয়েছে। রংপুরে ৬ হাজার ৬২৪ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ হাজার ৯৭৯ জন আক্রান্ত ও ১০৫ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধায় ২ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত ও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া নীলফামারীতে ২ হাজার ৭৭ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু ৪০ জনের, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ১৫ জন আক্রান্ত ও ২৯ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৬৭৭ জন আক্রান্ত ও ৩২ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ১ হাজার ২৭৯ জন আক্রান্ত ও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। অন্যথায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ