নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি ৮ নারী-পুরুষকে আটক করে থানা পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১৬ বিজিবি হাপানিয়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করেন।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল রেজাউল কবির বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে  নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার আবদুর রহমান গাজীর ছেলে জহুর আলী গাজী (৩৭), জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার রায়পুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৭) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার শ্রীফলকাটি গ্রামের শামছুল গাজীর এর ছেলে আবু হাসান (৩২) এবং সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার শ্রীফলকাটি গ্রামের আবু হাসানের স্ত্রী নুরনাহার বেগম (২৭), সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার আমিয়ান গ্রামের জহুর আলীর স্ত্রী সালমা পারভীন (৩০), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার ফুলদা গ্রামের মৃত আলিফ খালাসির মেয়ে সোনিয়া খাতুন (২৫), ময়মনসিংহ জেলার নতুন বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আকন্দের মেয়ে সাদিয়া খন্দকার ইভা (২৪), এবং কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আবু হোসেনের মেয়ে পপি আক্তার (২১)।

লে. কর্নেল রেজাউল কবির বলেন, আটকরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে দমদম সেন্ট্রাল জেলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেন। সোমবার (৫ জুলাই) তাদের ছেড়ে দিলে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা ভোর রাতে ভারতীয় এলাকার ১৫৯ বিএরএস পান্নাপুর সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করে। ২৩৭ নম্বর পিলার এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে সাঁতার কেটে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় হাপানিয়ার ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা তাদের আটক করেন। পরে তাদের স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৬ বিজিবির হাপানিয়ার ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে টহলরত অবস্থায় নদীর পানিতে সাঁতার কাটার শব্দ পেলে আমাদের জওয়ানরা তাদের আটক করেন। পরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাপাহার থানায় সোপর্দ করি।

সাপাহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে জানান, যেহেতু তারা ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাই তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন রেখে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কন্ট্রোল এন্ট্রি এক্ট ৪ ধারায় মামলা দিয়ে জেলাহাজতে প্ররণ করা হবে।

শামীনূর রহমান/এনএ