নাটোরের নলডাঙ্গায় ফেসবুকে লাইভ চলাকালে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অচেতন হয়ে তলিয়ে যায় ইমন আলী নামের এক কলেজছাত্র। খবর পাওয়ার পর নলডাঙ্গা থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি তাকে। তাকে উদ্ধারে রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটার পর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইমনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ইমন পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাধনপুর পঙ্গু নিকেতনের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, উপজেলার হলুদঘর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ-সংলগ্ন বারনই নদে এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দিতে যায় ইমন আলী। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় প্রথমে ভেসে ওঠে সে। পরে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।

এ ছাড়া ফেসবুক লাইভের ওই ভিডিওতেও দেখা যায় ইমন সাইকেল রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যায়। সেদিন বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে নদীর ধারে তার সাইকেল ও স্যান্ডেল পরে থাকতে দেখে কান্না শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে জানান ওসি।

ভিডিওতে যা দেখা গেছে
বর্ষায় নদীতে নতুন পানি আসায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ ও শিশুরা নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছিল। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ফেসবুকে বিডি ভিলেজ লাইভ’ নামের একটি পেজ থেকে লাইভ করা হচ্ছিল সেসব দৃশ্য। এতে দেখা যায়, নীল গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরে এক যুবক সাইকেল নিয়ে সেখানে আসে। পরে নদীর পাড়ে সাইকেল রেখে দৌড়ে গিয়ে নদীতে লাফ দেয় সে। ডিগবাজি স্টাইলে লাফ দেওয়ার পর তার পা দুটো ওপরে থাকতেই ভেসে ওঠে তার দেহ। এরপর ভাসতে ভাসতে কিছুদূর যাওয়ার পর তলিয়ে যায়।

তাপস কুমার/এনএ