হাটে হাজির ইউএনও, গরু-ছাগল নিয়ে পালালেন বিক্রেতারা
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুরে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে বসেছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। বুধবার (০৭ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে একদিন বুধবার আবাদপুকুরে হাট বসে। সেখানে নওগাঁসহ আশপাশের জেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যেই বুধবার আবাদপুকুর পশুর হাটে হাজারো মানুষের সমাগম হয়। হাটে আসা বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। এতে মুহূর্তেই হাট ফাঁকা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাটে দিনভর ক্রেতা-বিক্রেতারা গাদাগাদি করে ঘোরাফেরা করেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন এসেছিলেন পশু কিনতে। বিকেলের দিকে উপজেলা প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখারুল ইসলাম অংকুর ঢাকা পোস্টকে জানান, এমন পশুর হাটের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো ঢাকা পোস্টকে জানান, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য বাজার শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চললেও পশুর হাট বন্ধ রাখতে হবে। সেই নির্দেশনা অমান্য করায় আবাদপুকুর হাটের ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে পশুর হাট বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে।
শামীনূর রহমান/আরএআর/ওএফ