সিলেটে শতভাগ করোনা রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন
সিলেটে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের রেকর্ড ভাঙছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চাপে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। পাশাপাশি সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শতভাগ রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
এমনকি প্রত্যেক রোগীর দ্বিগুণ পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট। বর্তমানে এই হাসপাতালের ৯৯টি শয্যাতেই রোগী রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যারাই এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের প্রত্যেকেরই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম। যার কারণে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে শুরুতেই অক্সিজেন সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালটি শতভাগ রোগীর এখন অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
জানা যায়, হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১০০ শয্যা থাকলেও সেখানের ৯৯ শয্যাতেই রোগী ভর্তি রয়েছেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা ১৬টি রয়েছে যার মধ্যে ১৫টিতে রোগী রয়েছেন। ১৬ শয্যার মধ্যে দুটি আইসিইউ বরাদ্দ রয়েছে ডায়ালাইসিস রোগীদের জন্য।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৭ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যাদের প্রত্যেককেই ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছে।
এদিকে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে রেকর্ড ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় ১ হাজার ৪৫ নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৩৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বিভাগের সব থেকে বেশি আক্রান্ত রোগী সিলেট জেলার বাসিন্দা। মৃত্যুর দিক দিয়েও সিলেট জেলার বাসিন্দার সংখ্যাই বেশি।
বুধবার (০৭ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে, শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি শতভাগ রোগীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেও পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০ হাজার লিটার সেন্ট্রাল লাইন অক্সিজেন রয়েছে হাসপাতালটিতে। প্রতিবার তিন হাজার লিটার অক্সিজেন কমে এলেই অক্সিজেন সরবরাহ কোম্পানি সেটি পরিপূর্ণ করে দেন। এটি সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করা হচ্ছে।
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ভর্তি হওয়া শতভাগ রোগীদেরই অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে হাসপাতালটিতে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
এমএসআর