সরকারঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। লকাডাউনেও মানিকগঞ্জে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে দুইজন আর ২০৯ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৬৭ জন।

শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জেলায় মৃত্যুর হার কম থাকলেও বাড়ছে শনাক্তের হার। বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুন নাহার বন্যা।

ডা. রফিকুন নাহার বন্যা বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২১ জন, সিংগাইরে নয়জন, ঘিওর উপজেলায় ছয়জন, হরিরামপুরে ১৬ জন, সাটুরিয়ায় আটজন, শিবালয়ের তিনজন এবং দৌলতপুর উপজেলায় চারজন। 

জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ১২১ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয় ২ হাজার ৮৫৬ জনের। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরে ২৪৬ জন, সিংগাইরে ৩৯২ জন, সাটুরিয়ায় ৩১৯ জন, ঘিওরে ২৯৪ জন, শিবালয়ে ২৬২ জন, হরিরামপুরে ২০৯ জন, দৌলতপুরে ১২৪ জন রয়েছেন।

শনাক্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৯৯ জন এবং জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৫ জন এবং ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫৬টি।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টানে আছেন ৩৪৬ জন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৬ জন। অন্য জেলা থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করেছে ১০ জন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুন মাসে ২ হাজার ৩৭৯ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২৪৫ জন। আর মে মাসে ১ হাজার ৪১৬ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ১০৯ জন। চলতি মাসের ৬ জুলাই ১৫৯ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ৬০ জন।

৫ জুলাই ১৫৯ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয় ৩০ জন। ৪ জুলাই ১৮৬ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৪৫ জন, ৩ জুলাই ১৪৪ নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জন এবং ১ জুলাই ১১৬ নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জন করোনা শনাক্ত হয়।

সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অনেকটাই অনীহা। যে কারণে জেলায় করোনা শনাক্তের হার বেড়েই চলছে। তবে জেলায় মৃত্যুর হার কম থাকলেও করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে।

সোহেল হোসেন/এমএসআর/ওএফ