নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গ

নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে নাইমুর রহমান (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

নিহত নাইমুর রহমান নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তারানগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নরসিংদী সদরে সেঞ্চুরি এগ্রো লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা ছিলেন। নরসিংদী সদরের ভেলানগর এলাকায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি মেসে থাকতেন। 

পুলিশ জানায়, নাইমুর নভেম্বরের শুরুর দিকে নরসিংদীতে সেঞ্চুরি এগ্রো লিমিটেডে বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে তিনি কাজ শেষে মেসে ফেরেননি। ধারণা করা হচ্ছে- রাতের মেসে ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। 

সেঞ্চুরি এগ্রো লিমিটেডের নরসিংদী জেলা প্রধান মৃদুল কান্তি শর্মা বলেন, গতকাল নাইমুর কাজে এসেছিলেন। কাজ শেষে কোথায় গেছেন তা বলতে পারছি না। তবে আমার জানা মতে তার সঙ্গে কোস্পানির বা ব্যক্তিগত কারও বিরোধ ছিল না। 

নরসিংদী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টার দিকে মৃত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বলেন, এলাকাবাসী সকালে মরদেহ দেখে আমাদের খবর দেয়। এ সময় মরদেহের পাশে একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছোরা বা ধরালো কোনো কিছুর আঘাতে তার বুকে আঘাত করা হয়েছে।  বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরএআর