আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাইম ওরফে মেজর ওসামা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দর উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটকের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোর্তজা বাদী হয়ে দুই থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন।  

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন, আয়াতুল্লাহ মেহেতুদ ও আফনান নামে তিনজনসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। 

অপরদিকে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নাইম ওরফে মেজর ওসামা, রুম্মন হোসেন ও সাইফুলকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। 

এর আগে রোববার (১১ জুলাই) রাত ৮টা থেকে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত আড়াইহাজার ও বন্দর উপজেলায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের মিয়াবাড়ির কেন্দ্রীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলারকে আটক করা হয়। পরে তার ঘর থেকে তিনটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। এ সময় বোমার বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।

পরে সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এটি নব্য জেএমবির আস্তানা ছিল। এখানে তারা শক্তিশালী বোমা তৈরি করছিল বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। এ সময় সাইনবোর্ডে বোমা বহনের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ বোমা তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। 

অপরদিকে আড়াইহাজারের অভিযান শেষেই সিটিটিসির সদস্যরা রওনা হন বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায়। আড়াইহাজারের জঙ্গি মামুনের দেওয়া তথ্যে আটক করা হয় নাইম ওরফে মেজর ওসামা নামে নব্য জেএমবির এক বোমা তৈরির প্রশিক্ষককে। রাত সোয়া ২টায় শুরু হয় অভিযান। কিন্তু বোমা পাওয়া না গেলেও উদ্ধার করা হয় বিপুল জিহাদি বই, শক্তিশালী আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমা তৈরির সামগ্রী ও রিমোট কন্ট্রোল।

রাজু আহমেদ/আরএআর