নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয় চোখের অপারেশন শেষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে আসেন হৃদয়। চার মাস পর তিনি ফিরে আসায় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় কাদের মির্জা হৃদয়কে বুকে জড়িয়ে নেন।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, গত ৯ মার্চ রাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয় গুলিবিদ্ধ হয়। সন্ত্রাসীরা পৌরসভা লক্ষ্য করে দুই হাজার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। সেখানে আমার অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ হৃদয় সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। আজকের দিনটা আমাদের কাছে অনেক আনন্দের।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভায় গুলিবর্ষণের চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সন্ত্রাসী ধরতে পারেনি পুলিশ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ৯ মার্চ রাতে গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

গত ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয়ের চোখে গুলি লাগে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

হাসিব আল আমিন/আরএআর