চুয়াডাঙ্গায় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন শুরু
চুয়াডাঙ্গায় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন
চুয়াডাঙ্গায় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
জানা গেছে, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরি জিপু।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগীয় সহকারীদের চলমান কর্মবিরতির কারণে প্রথম পর্যায়ে চার পৌরসভা এলাকার শিশুদের মাঝে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জেলায় ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী ২ লাখ ২৯ হাজার ৮২১ শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, হাম ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে অতি দ্রুত ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যে কোনো বয়সে হাম হতে পারে। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি প্রায়ই শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হতো। তবে শিশুদের মাঝেই এই রোগের প্রকোপ বেশি।
তিনি আরও বলেন, টিকাদানের মাধ্যমে আমরা দেশকে পোলিওমুক্ত করতে পেরেছি। টিকাদানের সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো খেতাব পেয়েছেন। এখন দেশকে হাম-রুবেলামুক্ত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলার ৩ হাজার ৬৮৯ কেন্দ্রে শিশুদের এ টিকা দেয়া হবে। এ বছর হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনে জেলার ২ লাখ ২৯ হাজার ৮২১ শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৩২ এবং ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৮। এসব শিশুকে ৩ হাজার ৬৮৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল চিকিসক (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসান, শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন, গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. আকলিমা খাতুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন্স অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. তাফসির আহমেদ চৌধুরীসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।
এমএসআর