প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েছে প্রাথমিক শিশুদের উপবৃত্তির টাকা। ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এ শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়।

এরপর থেকে একটি চক্র কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদের পিন নাম্বার, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে।

উপবৃত্তি বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেক অভিভাবক টাকা উত্তোলন করতে গেলে অটো পিন সেটআপ দেখায়। পরবর্তীতে পিন কোড পরিবর্তন করে অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও ব্যালেন্স শূন্য দেখায়।

আবার অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখলে দেখা যায়, উত্তোলনের তারিখ এবং টাকার পরিমাণ, কোন তারিখে কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাও দেখাচ্ছে। অথচ অভিভাবকরা বলছেন, তারা টাকাই উত্তোলন করেননি। নগদের হেল্পলাইনে ফোন দিলে তারা ফোন রিসিভ করেন না।

পাইকশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, আমার মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তি টাকা এসেছে। কিন্তু এমন কোনো মেসেজ পাইনি। পরে নগদের এজেন্ট এর দোকানে গিয়ে আর টাকা তুলতে পারিনি।

একই প্রতিষ্ঠানের ৫ম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমার মোবাইল অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখি আমার উপবৃত্তির টাকা কে বা কাহারা তুলে নিয়ে গেছে।

অভিভাবকরা জানান, মোবাইল অ্যাকাউন্টে শুনেছি ছেলে-মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা এসেছে। এই টাকা তুলতে গিয়ে দেখি কে বা কারা টাকা তুলে নিয়ে গেছে। পরে আর টাকা পাইনি।

পাইকশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদ কামাল জানান, আমার স্কুলের প্রায় ৩০% শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা উধাও হয়ে গেছে। অ্যাকাউন্টে টাকা এলে অভিভাবকরা টাকা উত্তোলন করতে গেলে অটোপিন সেটআপ এবং টাকা উত্তোলনের তারিখ দেখায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহম্মেদ জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নিয়ে এখনও কেউ আসেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসকে রাসেল/এমএসআর