পাবনায় আরও ১১ জনের প্রাণহানি, শনাক্ত ১৫৫
পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জন মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৫ জন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর থেকে শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, সদরে তিনজন এবং সাঁথিয়া, ফরিদপুরে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ঈশ্বরদীর রূপপুরের মোজাহার হোসেন (৫৬), সুজানগরের ইউসুফ আলীর ছেলে লুৎফুর রহমান (৬০), হেমায়েতপুরের চরভাঙ্গাবাড়িয়ার মৃত আলহাজ এরাদ আলীর ছেলে রোস্তম আলী (৭২), সাঁথিয়া পৌরসভার নওয়ানি এলাকার মৃত ময়েন মোল্লার ছেলে ওমর আলী( ৬৮), সদরের দড়িভাউডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৪০), আরিফপুর হাজিরহাটের সাইফুল ইসলাম (৬০), সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর অঞ্চলের মৃত আকবর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৬৫)।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিনজন ও ফরিদপুর উপজেলায় মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
পাবনার সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশুপ্রতীম বিশ্বাস জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় ১৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ সময় মারা গেছেন একজন। মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৮৪ জনের এবং মারা গেছেন ৩১ জন
২৫০ শয্যা পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, করোনার প্রভাব দিনদিন বাড়লেও লোকজনের মধ্যে তেমন সচেতনতা নেই।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের শুধু চিকিৎসাসেবা দিলেই হবে না, চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অযথা হাসপাতালের ভেতরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে। বাজার-ঘাটে চলাফেরায় যথাযথ স্বাস্থবিধি অনুসরণ করতে হবে। নিজে সচেতন না হলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব না।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। ১০০ শয্যার পরিবর্তে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ১২৩ জন।
রাকিব হাসনাত/এসপি